Homeইতিহাসপ্রাচীন আরব উপদ্বীপের ভৌগোলিক অবস্থান কি

প্রাচীন আরব উপদ্বীপের ভৌগোলিক অবস্থান কি

 

প্রাচীন আরব উপদ্বীপের ভৌগোলিক অবস্থান

এশিয়া মহাদেশের পশ্চিম প্রান্তের দেশ আরব উপদ্বীপ। প্রকৃতির জলসীমায় পরিবেষ্টিত আরবভূমি সুপ্রাচীনকাল থেকেই পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত। মানব বসতির আদি ঠিকানা আরবে অবস্থিত মক্কা নগরীর ভূ-অবস্থানিক গুরুত্ব কম নয়। বিরূপ আবহাওয়া, প্রকৃতির শুষ্কতা ও রুক্ষতা সে এলাকার মানুষের মেজাজে প্রতিফলিত হলেও আতিথেয়তা, কাব্যচর্চা ও যুদ্ধ কৌশলের নানা দিক তাদেরকে বিশিষ্টতা দান করেছে। আরব ভূমির অনতিদূরে উত্তরের প্রান্ত ঘেঁষে অসংখ্য সভ্যতার উন্মেষ ঘটেছিল। মিসরীয়, সুমেরীয় ও হিব্রু সভ্যতা তার মধ্যে অন্যতম। এছাড়া ঐ সকল সভ্যতার লাগোয়া ভূমধ্যসাগরের উত্তরের গ্রিক ও রোমান সভ্যতার বিকাশ ঘটেছিল। এসকল সভ্যতার সৃষ্টি সমাজবদ্ধ মানুষের উন্নত জীবনযাত্রার পরিচয় বহন করে। নদীকেন্দ্রিক এসব সভ্যতা কৃষি ও শিল্পের বিকাশে সবিশেষ অবদান রাখে

প্রাচীন আরব উপদ্বীপের ভৌগোলিক অবস্থান

Geographical Position of the Ancient Arab Peninsula

আরবের ভৌগোলিক অবস্থান ও আয়তন : ইসলামের জন্মভূমি আরব দেশ পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম উপদ্বীপ। এটি এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। আরবের উত্তরে সিরিয়ার মরুভূমি, দক্ষিণে ভারত মহাসাগর, পূর্বে পারস্য উপসাগর এবং পশ্চিমে লোহিত সাগর রয়েছে। ভৌগোলিক অবস্থানের দিক দিয়ে এটি এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকা মহাদেশের সংযোগস্থলে অবস্থিত। এদেশের মাটি পৃথিবীর প্রাচীনতম শিলা। তাই আরবের মক্কা নগরীকে উম্মুল করা বা আদি নগরী বলা হয়েছে। তদানীন্তন আরবের আয়তন ১০,২৭,০০০ বর্গমাইল। [সূত্র : হাসান আলী চৌধুরী, ইসলামের ইতিহাস : সং ২০১১] আয়তনে এটি ইউরোপের একতুর্থাংশ এবং আমেরিকার এক-তৃতীয়াংশ। বর্তমান সৌদি আরবের আয়তন ৮,৩০,১১৫:৪৩ বর্গমাইল। উত্তর আরবের সামান্য কিছু ভানে মরুদ্যান আছে, সেখানে লোকবসতি গড়ে । এছাড়া প্রায় সমগ্র আরব অঞ্চল মরুময়। হেয়ায়, নজদ এবং আল প্রদেশ নিয়ে আরব দেশ গঠিত। ভারামাউত, ইয়েমেন ও ওমান নিয়ে দক্ষিণ আরব গঠিত। এ এলাকা উর্বর এবং প্রাচীনকালে এটিকে Arabia Felix বা সৌভাগা আরব বলা হতো।
আরবের নামকরণ: আরবকে কেন ‘আরব’ নামকরণ করা হয়েছে সে সম্পর্কে ঐতিহাসিকদের বিভিন্ন মতামত রয়েছে। তন্মধ্যে থেকে প্রসিদ্ধ কয়েকটি নিয়ে বর্ণনা করা হলো-
১. আরব শব্দটির অর্থ হলো ‘পাণ্ডিত্যপূর্ণ ও সুন্দর ভাষায় কথা বলা’। যেহেতু আরবের অধিবাসীরা নিজেদের ভাষাপাণ্ডিত্যের সম্মুখে সমগ্র পৃথিবীর লোককে ‘আজবি’ (মূক, বোবা) তথা নিজেদের অন্তরের কথা উত্তমরূপে প্রকাশ করতে অক্ষম বলে ভাবত, এজন্য তারা নিজেদের আরব বা আরবি এবং পৃথিবীর অন্যান্য জাতিসমূহকে আজম বা আজমি অর্থাৎ কথা বলতে অক্ষম বলে মনে করতো। ধীরে ধীরে পৃথিবীর অন্যান্য জাতি তাদের আরব বা আরবি নামে ডাকতে শুরু করে। ফলে তারা আরব নামে পরিচিত লাভ করে।
2.আরব শব্দটি আপ আরবাতু থেকে নির্গত হয়েছে। যার অর্থ হলো লতাগুল্মহীন মরুভূমি। যেহেতু এ অঞ্চল বৃক্ষলতাহীন মরুভূমি, তাই এ অঞ্চলটিকে আরব নামকরণ করা হয়েছে।

৩.অনেক ঐতিহাসিকের মতে, আরবের অধিকাংশ জনগোষ্ঠী ইয়াব নামক নূহ (আ.)-এর পরবর্তী বংশধরের গোত্রভুক্ত ছিল বলে তারা ইয়াব থেকে আরব নামে পরিচিত লাভ করেছে।
৪. ইয়ারুব ইবনে কাহতান নামক এক ব্যক্তি আরবি ভাষার আবিষ্কারক ছিলেন, এজন্য এ অঞ্চলের অধিবাসীরা আরব নামে
পরিচিতি লাভ করে ।
হেজাযের নিকটবর্তী একটি স্থানের নাম ছিল আরাবা। পূর্ববর্তীকালে সে স্থানের লোকজনের প্রাধান্য বেশি ছিল বিধায় সমগ্র অঞ্চল আরব নামে অভিহিত হয়।
হিব্রু ভাষায় আবহার শব্দের অর্থ মরুভূমি। যেহেতু আরবের বেশির ভাগ অঞ্চল মরুময়, সেহেতু আবহার নামেই এ
অঞ্চলের নামকরণ করা হয়। পরে আবহার শব্দটি আরব নামে পরিচিতি লাভ করে।
৭. পূর্বে আরব নামের উৎপত্তি সম্পর্কে নানাবিধ কারণ উল্লেখ থাকলেও বর্তমানে আরবি ভাষাভাষী লোকদের আরব নামে
অভিহিত করা হয়। যেমন— আরব লীগ নামক আন্তর্জাতিক সংস্থা, যার সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্রভাষা আরবি। এ হিসাবে ইরান আরব দেশের অন্তর্ভুক্ত নয়।
ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য : পর্বতমালা এবং মালভূমি ব্যতীত সমগ্র উপদ্বীপটি ছিল মরু অঞ্চল এবং অনুর্বর ভূমি, যা তিন ভাগে বিভক্ত। যথা : আল নুফুদ, আদ দাহনা ও আল হাররাহ্। শ্বেত ও লোহিত বালুকাপূর্ণ আরবের উত্তর অঞ্চল ‘নুফুদ’ নামে পরিচিত। শীতকালে যৎসামান্য বৃষ্টিপাত ছাড়া এই অঞ্চল শুষ্ক থাকে। দক্ষিণে হাযারামাউত এবং পশ্চিমে ইয়েমেন হতে পূর্বে ওমান পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চল ‘আল দাহনা’ নামে পরিচিত। উষ্ণতার জন্য গ্রীষ্মকালে এটি বসবাসের অনুপযোগী কিন্তু সাময়িক বৃষ্টিপাতে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পেয়ে বেদুইনদের জন্য সাময়িককালে বসবাসযোগ্য হয়ে ওঠে। অর্থাৎ দাহনা অঞ্চল বলতে জনপদবিহীন অঞ্চলকে বুঝায়। অসমতল, লাভা আচ্ছাদিত, ফাটলযুক্ত প্রস্তরময় আগ্নেয়গিরি অঞ্চলকে ‘অর্লি হাররাহ্’ বলে অভিহিত করা হয়। লোহিত সাগরের তীরব্যাপী একটানা পর্বতমালাকে আরব দেশের মেরুদণ্ড বলা হয়ে থাকে। উত্তরে ১,২০০ ফিট হতে দক্ষিণে ১০,০০০ ফিট পর্যন্ত তার উচ্চতা। ঐতিহাসিক ইয়াকুতী আরবের উত্তরাঞ্চল ও মধ্য অঞ্চলকে হাররাহ্ বলে অভিহিত করেন।
ভৌগোলিক অঞ্চল : গ্রিক ভূতত্ত্ববিদদের মতে, আরব দেশ তিন ভাগে বিভক্ত ছিল। যথা : মরু অঞ্চল (Arabia Deserta),
পাহাড় অঞ্চল (Arabia Petraea) ও উর্বর অঞ্চল (Arabia Felix)। মরু ও পার্বত্য এলাকা ছাড়া আরবের উর্বর তৃণ অঞ্চল কয়েকটি প্রদেশে বিভক্ত; যেমন— হেজাজ, ইয়েমেন, নজদ্, হাযরামাউত এবং ওমান।
মদিনা
ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হযরত মুহম্মদ (স.)-এর জন্মভূমি আরবের হেজাজ প্রদেশের মক্কা নগরীতে। এ প্রদেশ মক্কা, ও তায়েফ তিন ভাগে বিভক্ত। দক্ষিণ আরবে অবস্থিত হাযরামাউত, ওমান ও ইয়েমেন অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা এবং ব্যবসায়-বাণিজ্য ও কৃষিকার্যের জন্য খুবই বিখ্যাত ।
আবহাওয়া : আরব দেশের তিন দিয়ে সাগরবেষ্টিত থাকার কারণে একে আরব উপদ্বীপ বা জাযিয়াতুল আরব বলা হলেও আরবে কোনো নদনদী নেই। অধিকাংশ অঞ্চলের আবহাওয়া গরম ও শুষ্ক। উচ্চভূমিতে গরমের সময় রাত নাতিশীতোষ্ণ হয়ে থাকে। শীতকালে কোনো কোনো সময় তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রির নিচে নেমে যায়। আরবের পুবালি হাওয়া অতীব আরামদায়ক। আরবের প্রাচীন কবিগণ তাদের রচিত কবিতায় পুবালি হাওয়ার প্রশংসা গেয়েছেন
আরবের এক-তৃতীয়াংশ মরুময় প্রকৃতির রুদ্রলীলাস্থল এবং মনুষ্য বসবাসের সম্পূর্ণ অযোগ্য, শুল্ক ও নিষ্করণ রৌদ্রতাপ পীড়িত, বৃক্ষলতাদিশূন্য এবং সেখানে লু-হাওয়া প্রবাহিত হয়। তবে ওমান, ইয়েমেন, তায়েফ ও মদিনায় বছরে দুবার বৃষ্টিপাত হয়। এ সকল অঞ্চলে কৃষি উৎপাদন ও আবহাওয়া মোটামুটি ভালো ।
জীবজন্তু : প্রাচীনকাল থেকেই আরবে উট, ঘোড়া, ভেড়া, ছাগল ও দুম্বা গৃহপালিত জন্তু হিসাবে সমাদৃত। এসব পশুর চামড়া, পশম ও মাংস তাদের জীবন রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। পবিত্র কুরআন শরিফে উটকে আরবদের একটি বিশেষ অবদান বলে বর্ণনা করা হয়েছে। এছাড়া আরবের জীবকূলের মধ্যে প্যান্ডার, চিতাবাঘ, হায়েনা, নেকড়ে বাঘ, শিয়াল ও গিরগিটি উল্লেখযোগ্য। শিকারি পাখিদের মধ্যে ঈগল-বাজপাখি উল্লেখযোগ্য। অতিপরিচিত পাখিদের মধ্যে ঝুঁটিওয়ালা পাখি (হুদহুদ) পেঁচা, নাইটিঙ্গেল, পায়রা ও আরবি সাহিত্যে বর্সিত আলকাতা নামের এক ধরনের তিতির পাখি দেখতে পাওয়া যায় ।

আরবের কৃষি : আরব দেশে বার্লি, জব, কফি, নীল, খেজুর, শাক-সবজি ও ফলমূল উৎপন্ন হয়। এগুলো আরবদের প্রধান খাদ্য। ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সকলেই খেজুর খেয়ে থাকে। খেজুর গাছ আরব দেশে Queen of trees বলে অভিহিত। এটি স্থানীয় অধিবাসীদের বহুবিধ প্রয়োজন মিটায়। খেজুরের বীজ গুঁড়া করে উটকে খাওয়ানো হয়। খেজুরের রস বেদুইনদের একটি প্রিয় পানীয়। খেজুর গাছ, ডাল, আঁশ বেদুইনদের নিত্য কার্যে ব্যবহৃত হয়। কৃষ্ণবর্ণের দুটি সামগ্রী উট ও খেজুর বেদুইনদের নিকট অতি মূল্যবান ধন-সম্পদ।
প্রাকৃতিক সম্পদ : প্রাকৃতিক সম্পদ তৎকালীন আরব দেশে ছিল না বললেই চলে। প্রাচীনকালে আরবের পশ্চিম তীরে ইয়েমেন অঞ্চলে এবং কেন্দ্রীয় আরবের কয়েকটি স্থানে খাঁটি সোনা পাওয়া যেত। এছাড়া মুক্তা ও লবণ ছিল আরবদের খনিজ সম্পদ। তৃতীয় হিজরির ভূগোলবিদ মাকদেসি ও হামদানী “আহসানা-উত তাকাসিন” ও “সিফাতে জাজিরাতুল আরব নামক গ্রন্থদ্বয়ে আরব দেশের খনিজ সম্পদের যে বর্ণনা দিয়েছেন তাতে স্বর্ণের কথাই উল্লেখ আছে। গ্রিক ঐতিহাসিক ডাইস্কোরিডেসের মতে, “আরব দেশে এত বেশি সোনার খনি ছিল যে, ঐগুলো শোধন করার প্রয়োজন হতো না।” আরবীয় মরুদ্যানে উৎপন্ন অন্যান্য ফলের মধ্যে বেদানা, আপেল, বাদাম, কমলালেবু, কাগজী লেবু, আঁখ, তরমুজ ও কলা উল্লেখযোগ্য। প্রফেসর হিট্টি বলেন, “সম্ভবত নাবাতিয়ান ও ইহুদিরাই উত্তর থেকে এক ধরনের গাছ নিয়ে এখানে চাষ করেছিল।”

আরববাসীর জীবন-জীবিকার উপর ভৌগোলিক প্রভাব বিদ্যমান।

নিম্নে তা আলোচনা করা হলো :
চরিত্রের উপর প্রভাব : বিচিত্র ভৌগোলিক পরিবেশের দেশ আরব দেশ। তাই আরববাসীদের জীবনযাত্রা, দেহ-মন ও চরিত্রের উপর এ পরিবেশের প্রভাবও অপরিসীম। আরববাসীদের জন্ম হতে মৃত্যু পর্যন্ত জীবনধারণের জন্য সর্বদা এক প্রতিকূল ভৌগোলিক অবস্থা ও আবহাওয়ার সঙ্গে সংগ্রাম করে চলতে হতো। তাই তারা কষ্টসহিষ্ণু, কঠোর পরিশ্রমী ও ধৈর্যশীল হয়ে ওঠে।
যাযাবর জীবন : মরুভূমির উত্তপ্ত বালুকারাশি, সাইমুম ঝড়, লু হাওয়া, পাহাড় ও কণ্টকাদির মধ্যে তাদেরকে বসবাস করতে হতো। তাই আরববাসী ছিল রুক্ষ, দুর্ধর্ষ ও বদমেজাজি। আর খাদ্য উৎপাদন এদেরকে যাযাবর করে তোলে। খাদ্যের সন্ধানে তারা একস্থান হতে অন্যস্থানে গমন করত। মরুময় দুর্গম পথে নিরাপত্তার জন্য তারা কাফেলাবদ্ধ হয়ে চলত। ফলে তারা গোত্রবদ্ধ হয়। এ গোত্রপ্রীতিই আরবদেরকে অন্য গোত্রের সাথে শত্রুভাবাপন্ন করে তোলে। অনেক সময় জীবিকা অন্বেষণের জন্য তারা লুটতরাজকে উপজীব্য হিসেবে গ্রহণ করত।
স্বাধীনচেতা : তিনদিকে সমুদ্রবেষ্টিত এবং প্রতিকূল প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্যই আরব দেশ দীর্ঘদিন পর্যন্ত বিদেশি প্রভাব হতে মুক্ত ছিল। এ পরিবেশই আরববাসীদেরকে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রপ্রিয় করে তুলেছিল। তাই তারা স্বাধীনতা রক্ষার্থে কোনোরূপ ত্যাগ স্বীকার করতে কুণ্ঠিত হয় না। তারা পরিশ্রমী হওয়ার ফলে খাদ্য সংগ্রহের জন্য আরবের এক শ্রেণি বিদেশের সঙ্গে ব্যবসায়-বাণিজ্যে লিপ্ত ছিল। সিরিয়া, পারস্য, মিসর ও ভারতীয় উপমহাদেশের সঙ্গে তাদের ব্যবসায়ী লেনদেন চালাত। ফলে বিদেশি সাংস্কৃতিক প্রভাব তাদের উপর পড়ত। তৎকালীন আরব সমাজে কবিদের প্রভাব ছিল,এবং কবিতা চর্চার প্রচলন ছিল।
অতিথিপরায়ণতা : গোত্রপ্রীতি ও আতিথেয়তা আরববাসীদের জীবনের এক মহান গুণ। অপরদিকে প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যময় দেশের অধিবাসীরাও নানা বৈচিত্র্যময় চরিত্রের অধিকারী ছিল। ধর্মপ্রবণতা ছিল তাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। আরববাসীদের জীবনে ভৌগোলিক প্রভাব অত্যন্ত বেশি। কারণ ভৌগোলিক পরিবেশে সেখানকার মানুষ জীবন সংগ্রামে রত । আরব উপদ্বীপ একটি প্রাচীন ভূমি। এদেশে মানুষ মরুভূমিতে কঠিন জীবনযাপন করার ফলে কঠোরভাবে জীবনকে উপলব্ধি করে। তারা প্রকৃতির সঙ্গে সংগ্রাম করে বেঁচে থাকতে চায়। তাদের এ দুর্দশাপূর্ণ জীবনযাপনে প্রকৃতির প্রভাব সুস্পষ্ট। ঐতিহাসিক হিট্টি বলেন, “এই কারণেই আরবরা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বৈদেশিক আধিপত্য হতে মুক্ত থাকতে সক্ষম হয়।”
একক কাজ : আরববাসীদের জীবন ও জীবিকায় ভৌগোলিক প্রভাব ব্যাখ্যা কর।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments