Homeইতিহাসবদরের যুদ্ধ  (৬২৪ খ্রি.)

বদরের যুদ্ধ  (৬২৪ খ্রি.) [ Battle of Badar ( 624 AD)]

বদরের যুদ্ধ  (৬২৪ খ্রি.) [ Battle of Badar ( 624 AD)]হযরত মুহম্মদ (স.)-এর জীবনে মক্কার কুরাইশসহ বিধর্মীদের সঙ্গে অসংখ্যক যুদ্ধ করতে হয়েছে। বদরের যুদ্ধ এগুলোর মধ্যে প্রথম ফুঙ্গ। নিম্নে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :

ঐতিহাসিক হিট্টির মতে, “The battle of Badar laid the foundation of Muhammd temporal power. Islam had won its first and decisive military victory”, অর্থাৎ “বদরের যুদ্ধই মুহম্মদ (স.)-এর পার্থিব ক্ষমতার ভিত্তি স্থাপন করণ। ইসলাম তার প্রথম চূড়ান্ত ও সামরিক বিজয় অর্জন করে।” ৬১০ খ্রিষ্টাব্দে হযরত মুহম্মদ (স.) নবুয়ত প্রাপ্ত হন এবং ইসলাম প্রচারে আদিষ্ট হন। কিন্তু মদিনার কুরাইশদের অত্যাচারে টিকতে না পেরে আল্লাহর আদেশে মক্কা থেকে মদিনার হিজরত করেন। হিজরতের দুবছর পর ৬২৪ খ্রিষ্টাব্দে হযরত মুহম্মদ (স.) ও কুরাইশদের মধ্যে বদর প্রান্তে যে যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে ইসলামের ইতিহাসে তা বদরের যুদ্ধ নামে পরিচিত।

 

বদরের যুদ্ধের পটভূমি : পৃথিবীর ইতিহাসে সংঘটিত বড় বড় যুদ্ধ অপেক্ষা এ যুদ্ধের গুরুত্ব অপরিসীম। বদরের যুদ্ধ ছোট ক্ষুদ্ধ তথাপি এ যুদ্ধ মুসলমানদের ভাগ্য পরীক্ষার যুদ্ধ। হিজরতের পর মদিনায় মুসলমানদের প্রভাব ও প্রতিপত্তি বহুগুণ বৃদ্ধি পায়। মক্কার কুরাইশগণ মক্কা হতে মুসলমানদের বিতাড়িত করেও তাদের ক্ষমতা খর্ব করতে ব্যর্থ হয়। ইসলাম ধর্ম ও মুসলমানদের ধ্বংস করার জন্য কুরাইশগণ মরিয়া হয়ে ওঠে এবং হিজরতের মাত্র দুবছর পর ৬২৪ খ্রিষ্টাব্দে মুসলমানদের উপর আক্রমণ করে।

 

বদরের যুদ্ধের কারণ : নিম্নে বদরের যুদ্ধের কারণগুলো আলোচনা করা হলো :

মক্কার কুরাইশদের শত্রুতা : ৬২২ খ্রিষ্টাব্দে হযরত মুহম্মদ (স.) হিজরত করে মক্কা হতে মদিনা যান ইসলাম ধর্ম প্রচার প্রতিষ্ঠার জন্য। মক্কা হতে মদিনায় যাওয়ার মাত্র দুবছরের মধ্যে ইসলাম ধর্ম প্রসার লাভ করে। ফলে কুরাইশদের পাচারের মাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং মদিনার মুসলমানদের নিশ্চিহ্ন করার জন্য কুরাইশরা ষড়যন্ত্র করতে থাকে। আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইর ষড়যন্ত্র : খাযরাজ বংশীয় নেতা আব্দুল্লাহ্ বিন-উবাইর ছিলেন মদিনার একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। তাঁর স্বপ্ন ছিল মদিনার ভবিষ্যৎ শাসক হওয়ার। কিন্তু মহানবি (স.)-এর হিজরতের পর তিনি প্রকাশ্যে ইসলামের প্রতি আনুগত্য স্বীকার করলেও ইসলামের প্রতি ক্ষুব্ধ ছিলেন। কারণ মদিনাতে ইসলামি প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ফলে তার শাসক হওয়ার আকাঙ্ক্ষা চিরতরে নস্যাৎ হয়ে গেল ভেবে তিনি মহানবি (স.) তথা ইসলামের বিরুদ্ধে এক মুনাফেক দল গঠন করেন এবং মক্কার কুরাইশদের সঙ্গে গোপন ষড়যন্ত্র করেন।

 ইহুদিদের বিশ্বাসঘাতকতা : মদিনায় বসবাসকারী ইহুদিদের ধর্মীয় ও নাগরিক স্বাধীনতা দেওয়া সত্ত্বেও ইহুদিগণ কোনোদিনই মুসলমানদের ভালো চোখে দেখতে পারে নি। উপরন্তু তারা গোপনে মক্কার কুরাইশদের সঙ্গে নানা প্রকার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে মহানবি (স.)-এর রাষ্ট্র ও ধর্মকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেন। ঐতিহাসিক আমির আলী বলেন, “Madina itself was honeycombed by sedition and treachery. অর্থাৎ সমগ্র মদিনা শহর নিজেই বিদ্রোহ ও বিশ্বাসঘাতকতায় ভরে গিয়েছিল।

মদিনায় মুসলমানদের শক্তি বৃদ্ধি : মদিনায় মহানবি (স.) ‘সনদের’ মাধ্যমে একটি ইসলামি রাষ্ট্র গঠন করেন। মদিনায় সকল ধর্মের লোক ঐক্য ও সৌহার্দ্যে বসবাস করতে থাকে। ফলে মদিনাতে মহানবি (স.)-এর মর্যাদা ও ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কুরাইশগণ মুসলমানদের এ অগ্রগতিতে শঙ্কিত হয়ে তাদের ধ্বংস করার জন্য মদিনা আক্রমণের জন্য অগ্রসর হলে বদরের প্রান্তে যুদ্ধ হয় ।

 

 

 

বাণিজ্যিক পথ বন্ধের আশঙ্কা : মকার অভিজাত কুরাইশদের সিরিয়া ও পারগের বশে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিল। বাণিজ্যের পথ মদিনার নিয়ন্ত্রণে ছিল বিধায় মুসলমানগণ যখন তখন এ গর্ব কম করে দিতে পারে এ আশঙ্কায় কুরাইশরা মদিনা আক্রমণের জন্য ষড়যন্ত্র করতে থাকে ।

কুরাইশগণ কর্তৃক মদিনা আক্রমণ : মক্কার কুরাইশগণ কর্তৃক মাঝেমধ্যে মদিনার সীমান্তে মুসলমানদের উপর আক্রমণ চলে। এমনকি কুরাইশরা মুসলমানদের শস্য ধ্বংস ও সম্পদ লুটতরাজ করত। উট ও দুম্বা অপহরণ করে মুসলমানদের ক্ষতি করত।

নাখলায় খণ্ডযুদ্ধ : কুরাইশগণের সঙ্গে মদিনা প্রবাসী মুসলমানদের প্রথম সংঘর্ষ ঘটে নাখলায় যা ইতিহাসে নাখলার খণ্ডযুদ্ধ নামে পরিচিত। মুহম্মদ (স.) কুরাইশদের মদিনায় লুটতরাজ বন্ধ করার জন্য আব্দুল্লাহকে ১২ জন সঙ্গীসহ দক্ষিণ আরবে প্রেরণ করেন। নাখলায় কুরাইশদের সঙ্গে আব্দুল্লাহর সংঘর্ষ হয়। নাখলার যুদ্ধে একজন কুরাইশ নিহত হলেও অপর দুজন বন্দী হয়।। ১,৬০০ দিরহামের বিনিময়ে পরবর্তীতে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। নাখলার অভিযানে সাফল্য মুসলমানদের পরবর্তী সময়ের জন্য আর একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধাভিযানে অনুপ্রাণিত করেছিল। মৌলানা মুহম্মদ আলী বলেন, “ইসলামের ক্রমবর্ধমান শক্তিকে ধ্বংস সাধন করার জন্য কুরাইশদের উদ্বেগই যুদ্ধের একমাত্র কারণ।” গুজব ও আবু সুফিয়ানের মিথ্যা প্রচারণা : কুরাইশ নেতা আবু সুফিয়ান বাণিজ্যের অজুহাতে অস্ত্র সংগ্রহের জন্য সিরিয়ায় নিরাপদ গমন করেন। কিন্তু মক্কায় খবর পৌঁছে যে, কুরাইশ কাফিলা মক্কায় ফেরার পথে মদিনার মুসলমানগণ কর্তৃক আক্রান্ত হয়েছে। তার সঙ্গে মক্কার অভিজাত ব্যক্তির প্রায় ৫০,০০০ দিনার মূল্যের ধন-সম্পদ ছিল। তাই ঘটনার সত্যতা যাচাই না করে কুরাইশগণ আবু জেহেলের নেতৃত্বে (৭০০ উচ্ছ্বারোহী, ১০০ অশ্বারোহী এবং ২০০ পদাতিক সৈন্যসহ) প্রায় ১০০০ সৈন্য নিয়ে মদিনা আক্রমণের জন্য অগ্রসর হন। কুরাইশদের আগমনের সংবাদ পেয়ে মহানবি (স.) চিন্তিত হয়ে পড়েন।

বাণী লাভ : মহানবি (স.) মদিনা আক্রমণের সংবাদে চিন্তিত হয়ে আল্লাহ্র দরবারে পরবর্তী করণীয় কী এ নিয়ে প্ৰাৰ্থনা করেন। সঙ্গে সঙ্গে ঐশীবাণী নাজিল হয়, “তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করো যারা তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করে। তবে সীমালঙ্ঘন করো না। কারণ সীমালঙ্ঘনকারীকে আল্লাহ্ পছন্দ করেন না” (আল-কোরআন)। ঐশীবাণী লাভ করে মহানবি (স.) শিশু ইসলামি রাষ্ট্র মদিনাকে রক্ষার জন্য তৎপর হলেন। মহানবি (স.) যুদ্ধসংক্রান্ত মন্ত্রণা সভার পরামর্শক্রমে ২৩৮ জন আনসার ও ৮৬ জন মোহাজেরিনসহ আল-আরিসা পাহাড়ের পাদদেশে মুসলিম শিবির স্থাপনকরেন।

বদরের যুদ্ধের প্রস্তুতি : মহানবি (স.) মাত্র ৩১৩ জন মুসলিম বাহিনী নিয়ে মক্কা হতে ৮০ মাইল দূরে বদর প্রান্তরে উপনীত হলে আবু জেহেলের বিশাল বাহিনী নিয়ে অগ্রসর হওয়ার সংবাদ পান। দ্বিতীয় হিজরির ১৭ই রমজান (১৩ মার্চ, ৬২৪ খ্রি.) প্রত্যুষে উচ্চাভিলাষী আবু জেহেল দেখতে পায় মুসলিম সৈন্যরা বদরের সমস্ত পানির কূপগুলো দখল করে আছে। পানির অভাবেই তাদের বিপর্যয় হবে ভেবে আবু জেহেল মুসলমানদের আক্রমণ করল। hi

যুদ্ধের ঘটনা’ : আরবি রীতি অনুসারে মল্লযুদ্ধে প্রথম কুরাইশগণের বীর উতবা, শাইবা এবং ওয়ালিদ অগ্রসর হলে মহানবি (স.)-এর নির্দেশে হামজা, আলী এবং আবু উবায়দা কুরাইশদের পরাজিত করেন। উপায়ান্তর না দেখে আবু জেহেল মুসলমানদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। মুসলিম বীরগণ প্রচণ্ড বিক্রমে আক্রমণ প্রতিহত করে চলল। ১৭ই, ১৯শে এবং ২১শে রমজান এ তিনদিন যুদ্ধের পর কুরাইশ বাহিনী পরাজিত হয়ে পলায়ন করল। আবু জেহেলসহ ৭০ জন কুরাইশ যুদ্ধে নিহত হয়। অপরদিকে, ১৪ জন মুসলমান শাহাদাতবরণ করেন। মাত্র ৪০০০ দিরহাম মুক্তিপণ নির্ধারিত হয়। দরিদ্র বন্দীদের মুসলমানদের বিরোধিতা না করার জন্য ‘প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে মুক্তি’ দেওয়া হয়।

বদরের যুদ্ধের ফলাফল ও গুরুত্ব : বদরের যুদ্ধে জয়লাভের ফলে মুহম্মদ (স.)-এর পার্থিব ক্ষমতার ভিত্তি সুদৃঢ় হলো। অবহেলিত মুসলিম সমাজ কুরাইশদের সঙ্গে জয়লাভ করে ইসলাম ও রাষ্ট্রকে ধ্বংসের হাত হতে রক্ষা করণ। বদরের বুদ্ধের গুরুত্বের কতিপয় দিক হচ্ছে :

ইসলামের বিজয় : ঐতিহাসিক জোসেফ হেল বলেন, “বদরের যুদ্ধে জয়লাভ ইসলামের প্রথম সামরিক বিজয়।” এটি স্বজাতীয় দেশবাসীর উপর মুসলমানদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে। এটি জ্বলন্ত সত্য যে, বদরের যুদ্ধ ইসলামের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী ও গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য।

কুরাইশদের পরাজয় : বদরের যুদ্ধে কুরাইশগণ চূড়ান্তভাবে পরাজিত হয়ে হযরত মুহম্মদ (স.)-কে হত্যা এবং ইসলামকে পৃথিবীর বুক হতে ধ্বংস করার দুরাশা চিরতরে ব্যর্থ হয়। ফলে কুরাইশরা বহুগুণে ক্রোধান্বিত হয়ে পড়ে এবং পরবর্তীতে ওতুদের যুদ্ধ সংঘটিত হয়।

ইসলামি প্রজাতন্ত্রের সূচনা : ইসলাম প্রজাতন্ত্রের সূচনা ও সম্প্রসারণ ঘটায় এবং পরবর্তী একশত বছরের মধ্যে ইসলাম পশ্চিমে আফ্রিকা মহাদেশ হতে পূর্বে ভারতবর্ষ পর্যন্ত বিস্তৃতি লাভ করে।

মুসলমানদের মর্যাদা ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায় : সামান্য সংখ্যক মুসলমান সহস্রাধিক কুরাইশদের সঙ্গে জয়লাভ করে আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান হয়। মুসলমানদের মনোবল, শক্তি, সাহস ও উদ্দীপনা বৃদ্ধি পায়। ফলে মুসলমানগণ শহিদ হওয়ার অনুপ্রেরণা লাভ করে।

সত্যের বিজয় : বদরের যুদ্ধে মুসলমানদের জয়লাভ ছিল অজ্ঞতার বিরুদ্ধে জ্ঞানের বিজয়, অসত্যের বিরুদ্ধে সত্যের বিজয়, বেইমানের বিরুদ্ধে ইমানের বিজয়।

 ইসলামের প্রচার ও প্রসার : বদরের যুদ্ধে বিজয় ইসলাম প্রচারে নবযুগের সূচনা করে। ঐতিহাসিক যোসেক হেল বলেন, “ইসলাম ধর্মের প্রতি আরব বিশ্ব এমনকি পৃথিবীর মানুষের আকর্ষণ বৃদ্ধি পায়। দলে দলে লোক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। কলে মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে আরব উপদ্বীপে ইসলাম সম্প্রসারিত হয়

 ইহুদি ও খ্রিস্টানদের মনোবল ভেঙে পড়ে : বদরের যুদ্ধে পরাজয়ের ফলে মদিনার ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের মনোবল ভেঙে পড়ে। তারা মুসলিম শক্তিকে ধ্বংসের জন্য উঠে পড়ে লাগে। মুসলমানদের উদারতা বদরের যুদ্ধে জয়লাভ করে মুসলমানগণ কুরাইশ কন্দীদের প্রতি সহানুভূতি ও উদারতা প্রদর্শন করেন। ফলে পৃথিবীর অন্যান্য জাতি মুসলমানদের নিকট হতে এ মহানুভবতার শিক্ষা গ্রহণ করে

 

মুহম্মদ (স.)-এর ক্ষমতা সুদৃঢ়করণ : বদরের যুদ্ধে জয়লাভের ফলে হযরত মুহম্মদ (স.) ৬২৭ খ্রিষ্টাব্দে খন্দকের যুদ্ধে জয়লাভ, ৬২৮ খ্রিস্টাব্দে হুদায়বিয়ার সন্ধি, ৬৩০ খ্রিষ্টাব্দে মক্কা বিজয়, ৬২৯ খ্রিষ্টাব্দে মুতার যুদ্ধ, ৬৩০ খ্রিস্টাব্দে হুনায়নের যুদ্ধ ও ৬৩১ খ্রিস্টাব্দে তাবুক অভিযানে জয়লাভ করে একদিকে ইসলামের প্রচার ও অপরদিকে স্বীয়ক্ষমতাকে সুদৃঢ় করেন ।

 হযরত মুহম্মদ (স.)-এর পার্থিব ক্ষমতার ভিত্তি স্থাপিত হয় : বদরের যুদ্ধে মুসলমানগণ জয়লাভ করে এবং কুরাইশগণ পরাজিত হয়। পরাজিত কুরাইশগণ ধন-সম্পদ হারায়, মুসলমানগণ ধন-সম্পদ লাভ করেন। কুরাইশগণের কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি আবু জেহেল, শুকরা, উতবা, আল-হারিস, নওফল, শায়বা যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণ হারায়। অপরদিকে, মুহম্মদ (স.) মদিনা রাষ্ট্রের রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে একক শক্তির অধিকারী হন। আরব বিশ্বে তাঁর প্রভাব ও প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পায়। তাই ঐতিহাসিক হিট্টি বলেন, “The battle of Badar laid the foundation of Muhammd temporal power, Islam had won its first and decisive military victory”. অর্থাৎ সামরিক দ্বন্দ্ব হিসেবে বদর যতই নগণ্য হোক, এ যুদ্ধে মুহম্মদ (স.) পার্থিব শক্তির ভিত্তি স্থাপন করেন। ইসলাম তার প্রথম ও চূড়ান্ত সামরিক বিজয় অর্জন করে। পরিশেষে বলা যায় যে, বদরের যুদ্ধ ছোট্ট যুদ্ধ হলেও ইসলামের ইতিহাসে এ যুদ্ধের গুরুত্ব অপরিসীম। এ যুদ্ধে জয়লাভ না করলে ইসপান ধর্ম হয়তো পৃথিবীর বুকে প্রতিষ্ঠিত হতে পারত না। বদরের যুদ্ধে জয়লাভের ফলে মুসলমানগণ একটি জাতি, ইসলাম একটি ধর্ম হিসেবে আরব উপদ্বীপ তথা পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা লাভের প্রয়াস পায়। সুতরাং ৬২৪ খ্রিষ্টাব্দের বদরের যুদ্ধ একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। এ যুদ্ধে জয়লাভের ফলে মুহম্মদ (স.)-এর পার্থিব ক্ষমতা সুদৃঢ় হয় । Encyclopedia Britannica-তে উল্লেখ আছে, “The Battle of Badar is not only the most celebrated battle in the memory of Muslims it was really also of a great historical importance.”

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments